কোলাজেন কফির অপকারিতা, ফ্রোজেন কোলাজেন লোশন ব্যবহারের নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কোলাজেন কফির অপকারিতা, ফ্রোজেন কোলাজেন লোশন ব্যবহারের নিয়ম এবং কোলাজেন ক্রিম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে। তাই আপনি যদি এই বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে কোলাজেন কফির অপকারিতা জেনে নিবেন। চলুন বাড়তে কথা না বলে আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় কোলাজেন কফির অপকারিতা ও ফ্রোজেন কোলাজেন লোশন ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা শুধুমাত্র কোলাজেন এর উপকারিতা জানার পরেই সেটি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কিন্তু যখন আপনারা শুধুমাত্র উপকারীতা জেনে কোলাজেন কফির অপকারিতা O ফ্রোজেন কোলাজেন লোশন ব্যবহারের নিয়ম না অনুসারে ব্যবহার করা সিদ্ধান্ত নেবেন তখন কিন্তু কোলাজেন ক্রিম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আপনাকে কিন্তু এগুলো জানার পাশাপাশি অবশ্যই অবশ্যই ফ্রোজেন কোলাজেন লোশন ব্যবহারের নিয়ম জেনে রাখতে হবে। আর যারা কফি পান করেন তারা কোলাজেন কফির অপকারিতা জেনে নেবেন।

বিষয়টা হচ্ছে কোলাজেন এমন কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করে যেগুলো আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ব্যাপক রকমের সাহায্য করে থাকে। অর্থাৎ এর যতগুলো কার্যকারিতা রয়েছে অধিকাংশ কিন্তু এই সৌন্দর্য বিষয় নিয়ে। আপনি যদি এটি সেবন করেন তাহলে কিন্তু আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।

আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না যে আপনি এত সুন্দর হয়ে যেতে পারেন এবং আপনার আপনার ত্বক এত কোমল এবং উজ্জ্বলতা লাভ করতে পারে। এগুলোর পাশাপাশি কিন্তু এগুলো আমাদের চুল এবং নখের অনেক উপকার করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বয়স কম কিন্তু মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই কোলাজেন ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করতে পারে।

আপনি যদি ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে আপনি আপনার ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে পারবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আপনি চাইলে এ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেন কিংবা কোলাজেন সমৃদ্ধ বিভিন্ন রকমের ঔষধ সেবন করতে পারেন। আরেকটি উপায় রয়েছে কফি এবং অন্যটি ক্রিম।

নিচে প্রত্যেকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তাই আপনি যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে কিন্তু সকল তথ্য জানতে পারবেন। কারণ কোনটি কিভাবে কতটুকু উপকারিতা হতে পারে কিংবা কতটুকু আমাদের শরীরে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে তা কিন্তু সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।

কোলাজেন মূলত বিভিন্ন ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায় যার মধ্যে অন্যতম হলো ট্যাবলেট। ট্যাবলেট হলো সবথেকে বেশী জনপ্রিয় এবং অধিক বিক্রিয় কোলাজেন এর ভেরিয়েন্ট। কারণ এটি সেবন করা অনেক সুবিধা জনক কারণ এতে কোন প্রকার ঝামেলা পোহাতে হয় না শুধুমাত্র আপনি যদি এটা খেয়ে নেন তাহলেই সব কাজ হয়ে যাবে।

কিন্তু আপনি যদি অন্য দিকে কফি কিংবা ক্রিমের সাথে তুলনা করেন তাহলে দেখবেন সেখানে অনেক প্রকার ঝামেলা রয়েছে। যদিও প্রয়োজন ভেদে এটি খাবার নিয়ম এবং ধরন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তবে আপনার জন্য কোন ভেরিয়েন্ট সব থেকে বেশি কার্যকর হবে সেটা শুধুমাত্র ডাক্তার বলতে পারবে তাই আপনার উচিত যে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা এবং তার নির্দেশনা গ্রহণ করা।

আপনি যদি কোলাজেন ট্যাবলেট সেবন করেন তাহলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে যাবে, হাড় শক্ত হবে, চুল এবং নখ এর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাবে, আপনার শরীরে যেসব ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু রয়েছে সেগুলো নতুন ভাবে কাজ করতে শুরু করবে সকালে আপনার শরীর কিন্তু অন্যরকম হয়ে যাবে এবং অন্যতে লাভ করবে আগের তুলনায়।

এক কথায় বলতে গেলে এটি সেবন করলে আপনি ধীরে ধীরে ফর্সা হয়ে যাবেন এবং আপনার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। বিভিন্ন সেলিব্রেটি এবং যারা হাই প্রোফাইলের লোকজন রয়েছে তারা কিন্তু এটি সেবন করে থাকে যার ফলে তারা বয়স্ক হয়ে গেল তাদের চামড়া ঝুলে যায় না চামড়া টানটান থাকে। আর তাদের বয়স হয়ে গেলেও মনে হয় না তাদের বয়স হয়েছে কিংবা তারা বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।

এটি আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে এমনিতেই তৈরি হয় কিন্তু একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে কিন্তু এটা আগের মত আর উৎপন্ন হয় না কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে কিন্তু বয়সের চাপ এবং অন্যান্য সমস্যা গুলো দেখা দিতে শুরু করে।

কোলাজেন ক্রিম শুধুমাত্র ত্বকে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। আপনি যেরকম ট্যাবলেট সেবন করলে মোটামুটি সকল ধরনের উপকারিতায় পেয়ে যাচ্ছেন কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে সেটি শুধুমাত্র ত্বকের উপকার করবে। আপনি যে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন ওই ত্বকের অংশটুকুতে আপনি চাইলে কোলাজেন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি আপনার ত্বকের যে অংশে এই ক্রিম ব্যবহার করবেন ওই অংশে কোলাজেন এর ঘাটতি দূর হয়ে যাবে যার ফলে ওই অংশটুকু কিন্তু উজ্জ্বলতা লাভ করবে এবং ফর্সা হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে কিন্তু আপনাদের বলেছি যে এটি যদি ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের যে চামড়া ঝুলে যায় কিংবা একটা বয়স্কের সব বোঝা যায় সেটি বোঝা যাবে না।

এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা অনেক কফি পান করে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু একটা প্লাস পয়েন্ট কারণ তারা যদি কোলাজেন গ্রহণ করতে চাই তাহলে কিন্তু তারা কফের মাধ্যমে সেটি গ্রহণ করে নিতে পারবে। কারণ কোলাজেন কফি রয়েছে তাই আপনি যদি এই কফি পান করেন তাহলে এই কফির মাধ্যমে কিন্তু আপনি কাঙ্খিত কোলাজেন আপনার শরীরে প্রবেশ করে নিতে পারবেন। তবে এই উপকারিতা গুলো জানার পরে নিচের অংশ থেকে কোলাজেন কফির অপকারিতা জেনে নিবেন।

সে ক্ষেত্রে যেরকম ভাবে ট্যাবলেট সেবন করলে আপনি উপকারিতা পান সেক্ষেত্রে এই কফি পান করলেও কিন্তু আপনি মোটামুটি একই রকমের উপকারিতা পেতে পারবেন। তবে এটি খুব কম ব্যবহৃত হয় এবং অনেকেই এই পদ্ধতি কম ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনিও চাইলে ট্যাবলেট করতে পারেন কিংবা কফির মাধ্যমে পান করে নিতে পারেন কিংবা কফির মাদ্ধমে পান করে নিতে পারেন এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

আপনি যদি এই লোশনটি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। প্রত্যেকটি জিনিসেরই কিছু না কিছু নিয়ম থাকে তাই আপনি যদি পরিপূর্ণভাবে নিয়ম অনুসরণ করতে না পারেন তাহলে কিন্তু সেটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না কিন্তু সেটি ব্যবহার করে আপনি খুব একটা উপকারিতা পাবেন না।

তাই প্রথমে কিন্তু আপনাকে ফ্রোজেন কোলাজেন লোশন ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে আপনাকে আপনি যে আপনার ত্বকে যে স্থানে ব্যবহার করবেন সেটি পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার করে নেবেন বিভিন্ন পরিষ্কারক দ্রব্য দিয়ে। এরপরে আপনি এই লোশনটি সেখানে আলতো ভাবে লাগাই দিবেন এবং খেয়াল রাখবেন যাতে কোন ভাবে সূর্যের আলো সেখানে না লাগে। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এই ক্রিমের কার্যকারিতা কে নষ্ট করে ফেলতে পারে।

তাই আপনি যদি একটি আদর্শ সময়ে নির্বাচন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি রাত্রে ব্যবহার করতে হবে। ঘুমানোর পূর্বে আপনি এটি ব্যবহার করে ঘুমিয়ে যাবেন এবং সকালে উঠে দেখবেন এর কার্যকারিতা কতটুকু কাজ করতে পেরেছে। এভাবে মোটামুটি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার করলে কিন্তু আপনি এর কার্যকারিতার লাভ করতে পারবেন এবং এর উপকারিতা গুলো নিজের ত্বকে দেখতে পাবেন। আশা করি জানতে পেরেছেন ফ্রোজেন কোলাজেন লোশন ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।

এই কোলাজেন নামে কিন্তু বাজারে বিভিন্ন রকমের ট্যাবলেট পাওয়া যায় আপনি সেখানে দেখবেন যে সেখানে মানে কোলাজেন নামটি সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়া কিন্তু এক প্রকার মিল্ক শেক পাওয়া যায় যেটি কোলাজেন সমৃদ্ধ। আপনি চাইলে সেটিও সেবন করতে পারেন। তুই মোটামুটি এগুলো সেবন করলে কিন্তু আপনি উপকারিতা গুলো পেয়ে যাবেন। কোলাজেন ট্যাবলেট এর নাম হলঃ Clogen 10 mg Tablet, Neocell Super Collagen, Frozen Collagen Capsule, Youtheory Collagen ইত্যাদি।

আপনি যদি মনে করেন যে কোন প্রকার ওষুধ কিংবা চিকিৎসা গ্রহণ করবেন না শুধুমাত্র আপনি যে খাবারগুলো খান সেগুলো থেকে আপনার শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধি থাক তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। আর এগুলো কিন্তু পরিপূর্ণভাবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত হয় এবং প্রাকৃতিক হয়ে থাকে তাই আপনি চাইলে কিন্তু এগুলো খেয়ে দেখতে পারেন।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ প্রত্যেকটি খাবার যেরকম ভাবে লেবু, কমলালেবু, কামরাঙ্গা, আমড়া, আমলকি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। অর্থাৎ সোজা কথাই বলতে গেলে টক জাতীয় যতগুলো যত ধরনের খাবার রয়েছে সেগুলো কিন্তু আপনি খেতে করতে পারেন। আর এগুলো যদি সাধারণ অবস্থায় খেতে না পারেন তাহলে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।

অন্যান্য ঔষধ যেরকম ভাবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে কিন্তু

ফ্রোজেন কোলাজেন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে আপনি যদি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করেন কে বা সেবন করেন তাহলে কিন্তু অনেক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। তো সাধারণ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়ে আপনি যদি সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করেন তাহলে কিন্তু ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন ত্বকের পোস্ট করিছে এলার্জি প্রতিক্রিয়া, মাথাব্যথা ইত্যাদি।

কোলাজেন ক্রিম যদি আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে কিন্তু ত্বকের ফুসকুড়ি, এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তা অবশ্য আপনি যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়ম অনুসরণ করবেন তাহলে এ ধরনের সমস্যাগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা রাখতে পারবেন।