ভেরিকোসিল এর জন্য হোমিও চিকিৎসা ভালো নাকি সার্জারী ভালো

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন ভেরিকোসিল এর জন্য হোমিও চিকিৎসা ভালো নাকি সার্জারী ভালো। তাই আপনি যদি এ বিষয়টি জানতে চান তাহলে আপনাকে কিন্তু অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনজোগ সহকারে পড়তে হবে। তাই দেরি না করে চলুন আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

এছাড়া আপনারা যদি ভেরিকোসিল সম্পর্কে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি এবং মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনাকে অতিরিক্ত ভাবে আর কোন জায়গা থেকে তথ্য গ্রহণ করা লাগবে না। কারণ এখানে এমন ভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে যার ফলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। ভেরিকোসিল এর জন্য হোমিও চিকিৎসা ভালো নাকি সার্জারী ভালো সেটি।

ভেরিকোসিল আসলে এমন একটা রোগ যেটা থেকে মুক্তি পেতে যদি যান তাহলে আপনাকে বেশ কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। তবে আপনি যদি এর জন্য হোমিও ঔষধ সেবনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং এইগুলো শর্ত মেনে নিতে হবে আপনাকে অবশ্যই।

প্রথম কথা হলো হোমিও ঔষধ যে কোন রোগের জন্য কাজ করে খুবই দীর্ঘ সময় ধরে তবে স্থায়ীভাবে। এখন বিষয়টি যদি এরকম হয় যে আপনার তৎক্ষণাৎ ভেরিকোসিল ভালো করতে হবে তাহলে হোমিও ওষুধ খেয়ে আপনার কোন প্রকার লাভ করতে পারবেন না। আর এটি কতদিন সেবনের ফলে আপনার ভালো হয়ে যায় সে সম্পর্কে নিচে জানানো হয়েছে তাই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

এখন বিষয় হচ্ছে হোমিও ঔষধ ভেরিকোসিল এর ক্ষেত্রে কাজ করবে যদি ভেরিকোসিল প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে। মারাত্মক ধারণ করে ফেলেছে তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই অন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক ভিত্ত অনুসারে এই চিকিৎসা পদ্ধতি একদম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন তবে এর কার্যকারিতা পরিপূর্ণভাবে পেতে গেলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করতে হবে।

তবে এটি মাধ্যমে যে আপনি পরিপূর্ণভাবে রোগমুক্ত হয়ে যাবেন এতে কোন প্রকার গ্যারান্টি নেই। আপনার সমস্যার সমাধান হতেও পারে আবার নাও হতে পারে তাই এটা কিন্তু অনির্দিষ্ট। তবে এতে টাকা পয়সার হিসেবে খুবই কম খরচ হয় তাই এটা সাধ্যের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে পরিপূর্ণ সুস্থতা অর্জন করতে গেলে আপনাকে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

এলোপ্যাথির মাধ্যমে যদি আপনি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এটি সমাধান করতে চান তাহলে আপনাকে কিন্তু ঔষধ সেবনের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম করতে হবে। তবে অধিকাংশ চিকিৎসকেরাই এলোপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমে ভেরিকোসিল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরিবর্তে সেখানে সার্জারি ব্যবস্থা প্রয়োগ করে।

চিকিৎসা পদ্ধতি যদিও আগে ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়েছে তবে বর্তমানে কিন্তু এর ব্যবহার ভেরিকোসিল এর ক্ষেত্রে দেখা যায় না কিংবা নেই বললেই চলে। কারণ এখানে আপনার ফলাফল একদম পরিপূর্ণ হবে ও নির্দিষ্ট এবং বিজ্ঞানসম্মত ভাবে যদি হিসাব করা যায় তাহলে এটা খুব একটা কার্যকর হিসেবে ফলাফল প্রদান করতে পারে না এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে।

আপনি যদি ভেরিকোসিল ভালো করার জন্য খুব একটা টাকা পয়সা খরচ করতে না চান কিংবা বিষয়টি যদি এরকম হয়ে যায় ভেরিকোসিল ভালো হলে হবে কিংবা না হলেও খুব একটা সমস্যা নাই তারা কিন্তু এই ঘর চিকিৎসা পদ্ধতি নিজে নিজে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনি এটি আপনার বাড়িতেই করতে পারবেন এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।

তো এক্ষেত্রে যদি সিরিয়াল অনুসারে হিসাব করা যায় তাহলে ঘর চিকিৎসার ক্ষেত্রে আইস প্যাক সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ এর মাধ্যমে আপনার ব্যথা এবং ফোলা কমতে সাহায্য করে। যার ফলে ধীরে ধীরে সমস্যাটি সমাধানের দিকে এগিয়ে যায়। আর দ্বিতীয়টি হল জকস্ট্র্যাপ যেটা অণ্ডকোষের চাপ কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে থাকে।

এছাড়া কিন্তু আপনাকে যোগব্যায়াম এবং খাদ্যের ব্যাপক রকমের পরিবর্তন করতে হবে। আপনি কখনোই অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না। কারণ এর ফলে কিন্তু সমস্যা আরও বেশি দেখা দিতে পারে তাই মূল কথা হলো আপনাকে লাইফস্টাইল এবং বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম করতে হবে। যদি আপনি এই ধরনের পরিশ্রম করতে চান এরকম যদি মন মানসিকতা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি ঘরো চিকিৎসার মাধ্যমে ভেরিকোসিল ভালো করতে পারবেন।

আপনি ইতিমধ্যে আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ ভেরিকোসিল এর জন্য হোমিও চিকিৎসা ভালো নাকি সার্জারী ভালো এই অংশের মধ্যে প্রবেশ করেছেন। যেহেতু এই পর্যন্ত আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তাই আশা করছি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারলে এই সম্পর্কে আপনি একটি ক্লিয়ার এবং বিস্তারিত রূপের ধারণা পেয়ে যাবেন।

আশা এখন বিষয় হচ্ছে যদি ভালো বিবেচনা করা যায় অর্থাৎ হোমিও ঔষধের সাথে সার্জারির তুলনা করা হয় তাহলে সার্জারি সবসময় এগিয়ে থাকবে। কিন্তু বিষয়টি যদি এরকম হয়ে যায় আপনি খুব একটা টাকা পয়সা খরচ করতে চাচ্ছেন না তাহলে কিন্তু আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করা। দুইটা চিকিৎসা পদ্ধতিরই সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।

তবে সব থেকে ভালো হলো সার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতি। এখানে বিষয়টা হচ্ছে যে আপনি দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে যাবেন এতে কোনপ্রকার আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না। কিন্তু আপনি যদি হোমিয়ার মাধ্যমে এটি সমাধান করতে চান তাহলে আপনাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং তৎক্ষণাৎ ফলাফল পাবেন না। আবার অন্যদিকে চেয়ে হোমিওর মাধ্যমে এটি পরিপূর্ণ ভালো হবে কিনা এর কোন গ্যারান্টি নেই।

তো এই সকল দিক বিবেচনার ক্ষেত্রে ভেরিকোসিল এর জন্য সবথেকে ভালো এবং কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি হলো সার্জারি করা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ভেরিকোসিল এর জন্য হোমিও চিকিৎসা ভালো নাকি সার্জারী ভালো।

ভেরিকোসিল অপারেশন খরচ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে থাকে। আপনি কোথায় অপারেশন করাচ্ছেন এবং আপনার সার্জনের অভিজ্ঞতা এবং কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে চিকিৎসা করা হচ্ছে সেটার উপরে কিন্তু সবকিছু নির্ভর করে থাকে। এদিক থেকে যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে মোটামুটি ৫০ হাজার টাকা থাকে দেড় লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

তাই আপনি যদি অপারেশন করাতে চান তাহলে মোটামুটি এরকম একটা বাজেট রাখবেন। তাছাড়া এর পাশাপাশি বিভিন্ন ঔষধ সেবন করা লাগতে পারে এবং সেখানে বিভিন্ন রকমের খরচ এর বিষয় রয়েছে। তবে আপনি যদি এরকম একটা বাজে থাকেন তাহলে সকল খরচ হয়ে যাবে আশা করা যায়।

ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে এটা নির্ভর করে আপনি কোন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে ভেরিকোসিল থেকে মুক্তির জন্য চেষ্টা করছেন। আপনি যদি সার্জারি করেন সে ক্ষেত্রে মোটামুটি এক মাসের মধ্যে আপনি পরিপূর্ণ সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। আপনি যদি অন্যান্য ঔষধ এবং বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে কিন্তু তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ভেরিকোসিল এর জন্য হোমিও চিকিৎসা ভালো নাকি সার্জারী ভালো তা জানতে পেরেছেন। যারা এরকমের তথ্য খুঁজছে তাদের সাথে যদি আপনি এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দেন তাহলে তারা কিন্তু অনেক উপকৃত হবে। তাই নিজে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি অন্যরাও যাতে সুবিধা অর্জন করতে পারে তাই অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন।