Avolac সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, খাওয়ার আগে না পরে, কাজ কি, দাম

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন avolac syrup খাওয়ার নিয়ম, avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপনি যদি এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই আর্টিকেলটি পড়ে avolac syrup খাওয়ার নিয়ম, avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে তা জন্য নিতে হবে। একটা চলুন বাড়তি কথা না বলে জেনে নেওয়া যাক avolac syrup খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
avolac syrup এর কাজ কি, avolac syrup খাওয়ার নিয়ম, avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে
এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা avolac syrup এর কাজ কি তারা জানার পরে সেবনের সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যার ফলে কিন্তু পরবর্তীতে avolac syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর সম্মুখীন হয়। তাই আপনাকে কিন্তু এগুলো যেন পাশাপাশি অবশ্যই avolac syrup খাওয়ার নিয়ম এবং avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে সেটা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তাই আপনারা অবশ্যই যে অংশ avolac syrup খাওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে ওই অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

avolac syrup এর কাজ কি

আসলে সোজা কথাই বলতে গেলে আপনারা কিন্তু অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আসলে avolac syrup এর কাজ কি? তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশ জুড়ে কিন্তু এই সিরাপের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তাই চলেন আগে প্রথমে কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

প্রথম কোথায় বলতে গেলে আসলে ওষুধের কার্যকারিতা জানতে হলে আপনাকে ওই ঔষধের উপাদান সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর উপাদান সম্পর্কে জানতে পারলে কিন্তু আপনি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারবেন। কারণ উপাদানের ওপরে নির্ভর করে কিন্তু কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হয়। তাই চলুন প্রথমে কার্যকারিতা জানার জন্য উপাদান জেনে নেওয়া যাক।

avolac syrup এর মধ্যে রয়েছে সেলুলোজ যেটি পেটের গোলযোগ দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে। এখন সোজা কথা বলতে গেলে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ কষা পায়খানা হয় তাদের জন্য এই সিরাপটি ব্যাপক উপকারী হতে পারে। তবে আপনারা শুধুমাত্র এর উপকারিতা দেখেই খাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না কারণ আপনারা যদি avolac syrup খাওয়ার নিয়ম যেটা চিকিৎসক নির্দেশিত সেটি অনুসরণ না করেন তাহলে কখনোই ফলাফল পাবেন না।

তো বিশেষ করে যাদের দুর্গন্ধ যুক্ত মল হয়, পায়খানা কষা হওয়ার কারণে পাইলস বা এনাল ফিস্টুলা হওয়ার মত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের জন্য avolac syrup অনেক ভাল কাজ করতে পারবে। তবে এ সিরাপটি খাওয়ার সিদ্ধান্ত আপনারা কখনো একা একা নিবেন না খাওয়ার পর অবশ্যই একজন চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করবেন।

avolac syrup এর উপকারিতা

যারা উপরের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তারা ইতিমধ্যে হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে আসলে avolac syrup এর উপকারিতা গুলো কি। তারপরেও যদি আপনি হতে পারে জানতে চান তাহলে বলা যেতে পারে যে এ সেট খেলে আপনি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। এছাড়া পেটে গ্যাস্টিক কিংবা এ জাতীয় যত ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলো থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

avolac syrup খাওয়ার নিয়ম

যেকোনো সিরাপের কার্যকারিতা কিন্তু পরিপূর্ণতা নির্ভর করে ওই সিরাপটি আসলে কেমন ভাবে করা খাওয়া হচ্ছে তার ওপরে। তাই আপনি যদি avolac syrup খাওয়ার নিয়ম পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ না করেন তাহলে কিন্তু কোন প্রকার কার্যকারিতা পরিলক্ষ্য করবেন না। তাই শুধুমাত্র সিরাপ খাবার উপকারিতা জানলে হবে না এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই এর সেবন বিধি জেনে নিতে হবে।

তাই প্রথম কোথায় বলতে গেলে আসলে আপনার জন্য খাওয়ার নিয়ম কোনটি ভালো হবে সেটা কিন্তু শুধুমাত্র ডাক্তাররা বলতে পারবে। কারণ তারা প্রথমে আপনার শারীরিকভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং তাদের পরামর্শ অনুসারে আপনাকে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। এখন আপনার সমস্যা হয়েছে একটি তার জন্য এক ধরনের খাওয়ার নিয়ম রয়েছে কিন্তু আপনি অন্য নিয়মটি অনুসরণ করছেন।

তাহলে এর থেকে কিন্তু উপকারিতা পাবেন না পরিবর্তে কিন্তু আপনার বিভিন্ন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যদি একজন সচেতন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। না হলে প্রথমে কিন্তু সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিল পরবর্তীতে সেটা কিন্তু ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে।

কিন্তু আপনি যদি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করেন তাহলে কিন্তু কখনোই মোটামুটি লেভেলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। কারণ তারা যেভাবে ডোজ প্রদান করে থাকে কিংবা যেভাবে খাবারের নির্দেশনা দিয়ে থাকে সেটা আপনার জন্য অবশ্যই ভালো হবে কারণ তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এবং বিভিন্ন মানুষকে চিকিৎসা প্রদান করছে।

avolac syrup খাওয়ার নিয়ম যদি আপনি অনুসরণ করতে চান তাহলে আপনি প্রতিদিন তিন বেলা করে এক থেকে দুই চামচ পর্যন্ত সেবন করবেন। যদিও বয়স ভেদে আলাদা হয় তাই আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক না হয়ে থাকেন তাহলে এক চামচ করে সেবন করবেন এবং আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের উপরে হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে দুই চামচ করে সেবন করতে হবে।

তবে আগেও বলেছি এবং এখনও বলছি আপনি যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন এবং এই সমস্যাটাকে কখনোই সাধারণভাবে নেওয়া উচিত নয়। তাই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ কিংবা এমবিবিএস স্বাস্থ্য বিষয়ক এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তাই আপনি চাইলে কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা বড় ধরনের সরকারি হাসপাতাল অথবা বেসরকারি যে কোন হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় এভোল্যাক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে না হলে কিন্তু বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে এরকম পরিস্থিতিতে আপনার উচিত যে কোন ঔষধ কিংবা খাবার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা। কারণ এই পরিস্থিতি খুবই সেনসিটিভ এবং যে কোন কিছু যেকোনো সময় হয়ে যেতে পারে।

আর নারীদের জীবনের যত ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কিংবা ভালো ধরনের অবস্থা রয়েছে তার মধ্যে কিন্তু গর্ভাবস্থা অন্যতম। তাই এই বিষয়টিকে কোনভাবে অবহেলা করা যাবে না। আর এ সময় কিন্তু অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আর আপনারা যে ভুলটি করে থাকেন আসলে সেটা হল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করে থাকেন যেটা মোটে উচিত নয়।

আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন যে কোন একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসকের কাছে বারবার চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তার নির্দেশনা গ্রহণ করেছিল। কারণ প্রত্যেকটি চিকিৎসকের চিকিৎসা করার ধরন এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের সিস্টেম আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি এরকম পরিস্থিতির মধ্যে হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

আর আপনার নিকটস্থ কিংবা যারা পরিচিত জন রয়েছে তারা যদি এরকম পরিস্থিতিতে এরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলবেন। মূল কথা হলো জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে না হলে কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনভাবে এ ধরনের সমস্যাকে এড়িয়ে চলার সম্ভব হবে না।

avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে

যারা উপরের অংশ থেকে এই পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা কিন্তু ইতিমধ্যে আসলে বুঝতে পেরেছেন যে avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে। তারপরও আপনারা যাতে অতিরিক্ত তথ্য পেতে পারেন এবং এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবেন তাই কিন্তু আপনাদের সামনে আবারো এ বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলা হয়েছে।

মূল কথা হলো যে এই সিরাপটি খাওয়ার নিয়ম হলো দিনে তিনবার করে খাবার পরে খেতে হবে। তাই আপনারা কখনোই আগে খাবেন না কিন্তু খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি খাওয়ার আগে সেবন করেন তাহলে কার্যকারিতা পাবেন কিন্তু সেটা কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে না। তাই আশা করি বুঝতে পেরেছেন avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে।

avolac syrup কখন খেতে হয়

avolac syrup হলো দিনে তিনবার খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আপনি চাইলে দিনের যেকোনো সময় তিনবার তবে সব থেকে ভালো হয় সকালে দুপুরে এবং রাতে খাওয়া। এটা হল যে কোন ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে যে তিনবেলা নিয়ম করে দেওয়া হয় এটা হল স্ট্যান্ডার্ড একটি মাপ। তবে আপনি যদি মনে করেন যে দুপুরে খাবেন এবং বিকালে খাবেন এবং রাত্রে খাবেন সেটা সম্ভব।

তবে চিকিৎসকরা যেহেতু সকালে দুপুরে এবং রাতে খাবার নির্দেশনা দিয়ে থাকে তাই আপনি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে অবশ্যই তাদের কথা অনুসরণ করে চলবেন। যেহেতু তারা এভাবে খেতে বলেছে তার মধ্যে অবশ্যই কার্যকারিতা রয়েছে এবং এটা হল আসল নিয়ম। তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন avolac syrup কখন খেতে হয়। আর যেহেতু উপরের অংশে avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তাই এটি অবশ্যই মেনে চলবেন।

avolac syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যে কোন সিরাপ কিংবা ওর সাথে কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে avolac syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে আপনি যদি avolac syrup খাওয়ার নিয়ম পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে কিন্তু এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

avolac syrup এর সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মধ্যে রয়েছেঃ পেটব্যথা, মাথাব্যথা, পেটে গ্যাস গ্যাস ভাব ইত্যাদি। আর এই সিরাপটি খাওয়ার সময় কিন্তু avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে সেটা অবশ্যই মাথায় রেখে সেবন করবেন। আর পার্শ্বপ্রতিকাকে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয় যদি এই সিরাপটি খাওয়াকালীন সময়ে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ আপনার চিকিৎসককে জানিয়ে দিবেন।

avolac syrup এর দাম কত। avolac syrup 100ml price in bangladesh

avolac syrup প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হল Aristopharma Ltd, যেটা বাংলাদেশে কিন্তু অত্যন্ত সুনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি। তাই আপনি কিন্তু আপনার নিকটস্থ ফার্মেসিতে খুব সহজেই এই সিরাপটি পেয়ে যাবেন। বর্তমান বাজার অনুসারে avolac syrup এর ১০০ এম এল এর দাম ২০০ টাকা এবং ২০০ এম এল এর দাম ৩২০ টাকা।

লেখকের কথাঃ avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে

আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে avolac syrup এর কাজ কি, avolac syrup খাওয়ার নিয়ম এবং avolac সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। তো এরকম যদি আর্টিকেল আপনার আরো পড়তে চান কিংবা এরকম তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url