filmet 400 খাওয়ার আগে না পরে - শিশুদের সিরাপ খাওয়ার নিয়ম। শিশুদের ফিলমেট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন filmet 400 খাওয়ার আগে না পরে এবং শিশুদের ফিলমেট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাই আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে ইন্টারেস্টেড হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। বাড়তি কথা বলে সময় নষ্ট না করে filmet 400 খাওয়ার আগে না পরে তা জেনে নেওয়া যাক।

এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বে না যার ফলে কিন্তু শিশুদের ফিলমেট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম না জানার কারণে ফিলমেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর সম্মুখীন হতে পারে। এজন্য আপনার অবশ্যই filmet 400 খাওয়ার আগে না পরে এ বিষয়টি জেনে নেবেন এবং সতর্কতা অনুসারে সেবন করবেন বা করবেন।

আমাদের কাছে কিন্তু অনেকেই এই ঔষধের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই অংশে কিন্তু এই সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাই আপনার যদি এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়তে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে উত্তর পেয়ে যাবেন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সোজা কথাই বলতে গেলে এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ যেটা ব্যাকটেরিয়া এবং পরজবির সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ব্যাপকভাবে সক্ষম। বিশেষ করে যেসব ভাইরাস আমাদের শরীরের ব্যাপক রকমের ক্ষতি করে থাকে সেসব ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে।

আপনি যদি উদাহরণ হিসেবে চান তাহলে পেটের ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, লিভারের সংক্রমণ, পরজীবীর সংক্রমণ ক্ষুদ্রান্তে এছাড়া মানব শরীরের বিভিন্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোতে যদি সংক্রমণ দেখা দেয় তাহলে এই filmet 400 ওষুধটি ব্যাপকভাবে তা প্রতিরোধ করে এবং সুস্থ করে তোলে। তাই আশা করি বুঝতে পেরেছেন filmet 400 এর কাজ কি।

যারা উপরের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা কিন্তু ইতিমধ্যে আটকে বুঝতে পেরেছেন যে এই ওষুধের কার্যকারিতা কি কিংবা এটি সেবন করলে কি কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। তারপরেও আমি অতিরিক্ত ভাবে বলে দিতে পারি যে আপনার যদি পেটের মধ্যে কোন ব্যথা হয় কিংবা জ্বালা যন্ত্রণা হতে থাকে তাহলে আপনি সর্বপ্রথম একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করবেন কিংবা তার এপয়েন্টমেন্ট নেবেন।

ওই ডাক্তার যদি আপনাকে filmet 400 সেবনের নির্দেশনা দেয় তাহলে কিন্তু এটি সেবনের মাধ্যমে আপনার পেটের ব্যথা এবং শরীরের অন্যান্য জায়গার বিভিন্ন সংক্রমণ গুলো প্রতিরোধ করতে পারবেন। কারণ এর উপাদানের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যেগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী সংক্রমণকে ধ্বংস করতে পারে।

একটি উপকারিতা রয়েছে যেটা সম্পূর্ণরূপে আলাদা আর সেটা হলো যে অনেক সময় দেখা যায় যে পেটে আলসারের কারণে প্রচন্ড রকমের জ্বালা করা হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি ওই রোগের কারণে ডাক্তার যে ওষুধপত্রগুলো দিয়েছে এর পাশাপাশি যদি এই ট্যাবলেটটি সেবন করতে থাকেন তাহলে কিন্তু আলসার ভালো হয়ে যায়।

যে কোন ঔষধের কার্যকারিতা কিন্তু অনেকভাবে নির্ভর করে থাকে যে আপনি কি এর নিয়ম অনুসরণ করে সেটি সেবন করছেন তার উপরে। ঠিক তেমনি ভাবে ফিলমেট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম আপনি যদি পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ না করতে পারেন তাহলে কিন্তু কখনো এটি থেকে উপকারিতা পাবেন না। তাই আপনি যদি পরিপূর্ণ উপকারিতা পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সকল নিয়ম অনুসরণ করে চলতে হবে।

আর যাই হোক এখন বিষয়টা হচ্ছে আপনার যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিন চামচ পর্যন্ত দৈনিক তিনবার করে সেবন করতে হবে। যদিও এটা নির্ভর করছে যে আপনি কোন রোগের কারণে এই ওষুধটি সেবন করেছেন কিংবা সিরাপটি সেবন করেছেন তার উপরে। তাই সব থেকে ভালো হয়ে যায় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করার কারণ তিনি প্রথমে আপনার শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

পর্যবেক্ষণ করার পরে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আপনার রোগের ধরন অনুসারে আপনাকে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে। তাই আপনার যদি সুযোগ থাকে কিংবা ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা থাকে তাহলে অবশ্যই দেখিয়ে নিবেন। তবে তৎক্ষণিকভাবে খাওয়ার জন্য আপনি চাইলে কিন্তু ফার্মেসি থেকে ক্রয় করে এনে এই সিরাপটি সেবন করে নিতে পারবেন। তবে এই নিয়ম অনুসরণ করি কখনোই দীর্ঘস্থায়ীভাবে মানে দীর্ঘদিন যাবত সেবন করতে যাবেন না।

অনেক সময় কিন্তু দেখা যায় শিশুদের পেটে মারাত্মক রকমের ব্যথা করছে এবং তারা প্রচন্ড রকমের কান্নাকাটি করছে। এরকম পরিস্থিতিতে যদি শিশু বিশেষজ্ঞ কে দেখানোর আপনার কোন ব্যবস্থা না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি তৎক্ষণিকভাবে একটি ফার্মেসিতে গিয়ে ফিলমেট সিরাপ ক্রয় করে আনতে পারেন। তবে ক্রয় করে আনার পরে আপনাকে অবশ্যই কিন্তু শিশুদের ফিলমেট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আর আপনি যদি এই বিষয়টি জেনে না থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে কারণ সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করলে কিন্তু দেখা দিতে পারে।

আপনার শ্বশুর বয়স যদি কম হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম হয়ে থাকবে। যার ফলে যদি কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে কিন্তু সেগুলো বর্তমানে খুব প্রকাশ না পেলেও ভবিষ্যতে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই আপনি যদি একজন সচেতন নাগরিক এবং সচেতন অভিভাবক হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

শিশুদের ফিলমেট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম হল এক চামচ করে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার। তবে আপনি কখনোই কিন্তু অতিরিক্ত উপকারিতা পাওয়ার জন্য এগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করাবেন না যেটা মারাত্মক হতে পারে। তবে সবথেকে ভালো হয় একজন শিশু বিশেষজ্ঞ কে আপনার সন্তানকে দেখানো তাহলে সেই ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা এবং যন্ত্রাংশের দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে।

এটি কতদিন খেতে হবে সেটা সম্পূর্ণভাবে আপনার উপরে নির্ভর করছে। যদি কোন দিন খাওয়ার পরে আপনার শারীরিক পরিস্থিতি ভালো হয়ে যায় তাহলে আর খাওয়া লাগবে না ও হতে পারে। কারণ অনেক সময় চিকিৎসকেরা এটি ডোজ হিসাবে খাবার নির্দেশনা দিয়ে থাকে। তাই আপনার যদি ডোজ পরিপূর্ণ না হয় তাহলে আপনার রোগ ভালো হোক কিংবা খারাপ হোক আপনাকে খেয়ে যেতে হবে।