ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায় কি

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি জানতে পারবেন যে আপনি কিভাবে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে এডসেন্স অ্যাপ্রভাল নিবেন জেনে নিন।
ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায়
বর্তমান পৃথিবীতে যত ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে তার মধ্যে কিন্তু google এডসেন্স অন্যতম এবং সবথেকে ট্রাস্টেড। তাই আপনি যদি এই আইটি সেক্টরে ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চান এবং ওই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই আপনাকে google এডসেন্স অনুমোদন নিতে হবে। আর আপনি যদি ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায় না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

মানসম্মত এবং ইউনিক কনটেন্ট publish

গুগল এডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার জন্য আপনাকে যে বিষয়টি দেখে সব থেকে বেশি নজরদারি করতে হবে এবং যে বিষয়টির দিকে অতিরিক্ত ফোকাস করতে হবে সেটা হল ইউনিক কনটেন্ট। আপনাকে প্রতিনিয়ত একটি করে অন্তত আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে যেটা অন্যতম এক হাজার ওয়ার্ডের উপরে হবে। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা 300 থেকে 400 ওয়ার্ডের মধ্যে আর্টিকেল লিখে প্রকাশ করে।

কিন্তু আপনি এগুলো করতে পারবেন গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল নেওয়ার পরে কিন্তু আপনি যদি আগে এরকম ছোট ছোট আর্টিকেল লিখেন তাহলে গুগল এডসেন্স অনুমোদনপাতে আপনার অনেক সময় লাগতে পারে কিংবা নাও পেতে পারেন। এখানে ইউনিক কন্টেন্ট বলতে বোঝানো হচ্ছে এখানে আপনাকে নিজেই লিখতে হবে। কখনোই অন্যের লেখা দেখে দেখে কপি করে লেখা যাবে না।

আপনি যদি এভাবে লিখতে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার অভ্যাস হয়ে যাবে তাই নিজে পরিকল্পনা করুন এবং সেই ইনফরমেশন গুলো নিয়ে নিজের মতো করে একটি ব্যতিক্রমভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখুন। একটি বিষয় হচ্ছে এখন যারা অভিজ্ঞ হয়ে গিয়েছে কিংবা যারা এই বিষয়ে অনেকদিন যাবত কাজ করছে তাদের কিন্তু আপনি যে কোন প্রকার তথ্য দিলে তারা শুধুমাত্র আলাদাভাবে উপস্থাপনের জন্য এসেছে তথ্যগুলো ইউনিক হয়ে যাবে। এবং তারা এগুলো করার পাশাপাশি নতুন নতুন তথ্য যুক্ত করবে যার ফলে সেটি একটি ব্যতিক্রম ধর্মে আর্টিকেলে পরিণত হবে।

তাই আপনাকে কিন্তু অবশ্যই এই মানসম্মত এবং ইউনিক কন্টেন্টের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যদি এগুলোর দিকে মনোযোগ না দিয়ে অন্যদিকে মনযোগ দেন তাহলে কিন্তু কোন প্রকার লাভ হবে না। কারণ ও আপনার ওয়েবসাইটে যদি কন্টেন্টের কোন প্রকার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি যত যাই করেন না কেন আপনি কখনোই গুগল এডসেন্স অনুমোদন পাবেন না।

ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং রেসপন্সিভ ডিজাইনের theme

ব্লগার ওয়েবসাইটে কিন্তু ডিফল্টভাবে একটি থিম থাকে তবে এটাকে বিভিন্নভাবে মডিফিকেশন করা যায়। আপনি যদি ব্লগার ওয়েবসাইটটি একটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এই থিমটি মডিফিকেশন করে নিতে হবে। আর থিম কিন্তু খুবই একটি সেনসিটিভ বিষয় আপনি যদি সামান্য একটি অক্ষর বাদ দিয়ে দেন তাহলে কিন্তু ওই থিম আর কাজ করবে না।

এজন্য আপনি যদি এই সেক্টরে একটি ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনি কিন্তু প্রথমে এই থিম কাস্টমাইজেশন ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। আপনি চাইলে কিন্তু এই ব্লগার ওয়েবসাইটের জন্য সবথেকে জনপ্রিয় এবং সুন্দর রেস্পনসিব এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি ব্যবহার করতে পারেন আর সেটা হল ordinaryit এর 4.0 থিমটি।

আমার দেখ মতে এই থিমটি মানে অত্যধিক সুন্দর এবং সবকিছু সাজানো গোছানোভাবে দেওয়া হয়েছে। আপনি চাইলে এই থিমটি ব্যবহার করতে পারেন এবং এই থিমের যদি কাস্টমাইজেশন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে ইউটিউবে গিয়ে অর্ডিনারি আইটি থিম কাস্টমাইজেশন লিখে সার্চ দিলেই তাদের ভিডিও চলে আসবে।

ওই ভিডিওতে মূলত দুইটি পাট রয়েছে আপনি ওই শুধুমাত্র তারা যা করছে সেগুলোই যদি করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি সুন্দরভাবে আপনার কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রকার ফিচার রয়েছে আপনার চাইলে সেই গুলো রাখতে পারেন আবার বাদও দিতে পারেন সেগুলো পরিপূর্ণরূপ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায়

আপনাদেরকে কিন্তু অলরেডি দুইটি পয়েন্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নিম্নোক্ত অংশগুলোতে কিন্তু অন্যান্য পয়েন্ট সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তো বলা হয়েছে কিংবা যে নিয়মগুলো অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে আপনারা সেগুলো অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করবেন। google এডসেন্স কিন্তু খুব সেনসিটিভ তাই আপনি যদি কোন প্রকার ভুল করে থাকেন তাহলে কিন্তু কখনোই অনুমোদন পাবেন না।

তাই অবশ্যই আপনাদের কিন্তু ওয়েবসাইটটি ভালোভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে এবং যে নিয়মগুলো বলা হয়েছে সেগুলো পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে হবে। তবে আপনি যখন গুগল এডসেন্স অনুমোদনের জন্য আপনি আবেদন করবেন তার পূর্বে বেশ কয়েকটি জিনিস অবশ্যই দেখে নিবেন সেগুলো ঠিক রয়েছে কিনা।

সেগুলোর মধ্যে রয়েছে যে আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্টিকেল কিংবা কন্টেন্ট রয়েছে কিনা। কারণ আপনার ওয়েবসাইটে যে গুগল তাদের এডসেন্সের অনুমতি দিবে তার জন্য আপনার ওয়েবসাইটটি এলিজেবল কিনা কিংবা আপনার সাইটে যেসব নিয়মাবলী প্রয়োজন রয়েছে সেগুলো সবকিছু ঠিক আছে কিনা।

সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে কিন্তু মোটামুটি সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই তারা রিভিউ দিয়ে দেয়। যদি কোন কারণে রিজেক্ট করে তাহলে সমস্যাগুলো সমাধান করে আপনি আবার আবেদন করবেন এতে কোন প্রকার সমস্যা নেই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায়।

সঠিকভাবে SEO করতে হবে

আপনি যদি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটের ঠিকমতো ভিজিটর নিয়ে আসতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এসইও করতে হবে। এসিও করতে হবে মানে বিষয়টা হচ্ছে আপনাকে এমন কিছু মানে কিওয়ার্ড সিলেক্ট করে নিতে হবে যেগুলোর কম্পিটিশন অনেক কম এক কিন্তু সার্চ ভলিউম অনেক বেশি।

অর্থাৎ এখানে বোঝানো হচ্ছে যে আপনাকে এমন কিছু কিওয়ার্ড কিংবা যেটা দিয়ে সার্চ করা হয় এমন কিছু ওয়ার্ড বেছে নিতে হবে যেগুলো অনেক মানুষ সার্চ করে কিন্তু সেগুলোর রেজাল্ট খুব কম সেই বিষয়ে লেখা কম রয়েছে। আপনি কিন্তু allintitle ব্যবহার করে কিন্তু দেখে নিতে পারবেন যে কতটি মানুষ একটি কি ওয়ার্ডের বিপরীতে লিখে রেখেছে.

আর যদি এই সার্চ ভলিউম দেখতে চান তাহলে বিভিন্ন রকমের টুলস রয়েছে যে রকম ubbersuggest, ahrefs, google keyword planner, small seo tools ইত্যাদি। আপনি যদি এই পেইড ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সব থেকে ভালো হয় তবে ফ্রি ভার্সনেও আপনার মোটামুটি এন্ট্রি লেভেল এর কাজগুলো করতে পারবেন।

ওয়েরসাইটের ৫টি পেজ

ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায় যতগুলো রয়েছে তার মধ্যে কিন্তু অন্যতম হলো এই নির্দিষ্ট পাঁচটি পেজ আপনার ওয়েবসাইটে থাকতে হবে। এই পেজগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
  1. About Us
  2. Contact Us
  3. Privacy Policy
  4. Terms and Conditions
  5. Disclaimer
আপনি যতই পোস্ট করেন কিংবা আর্টিকেল পাবলিশ করেন কিংবা থিম কাস্টমাইজেশন করেন না কেন আপনার ওয়েবসাইটে যদি এই পাঁচটি পেজ না থাকে তাহলে কখনো কিন্তু আপনি এডসেন্সের জন্য অনুমোদন পাবেন না। আপনাকে অবশ্যই এই পেজগুলো ক্রিয়েট করে নিতে হবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আসলে এই পেজগুলোর কাজ কি ংবা আমাদের ওয়েবসাইটে এই পেজগুলো থাকার প্রয়োজনীয়তা কি?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে মূলত এই পাঁচটি পেজের মাধ্যমে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতিটা মানে প্রকাশ করা হয়। প্রথমটি অর্থাৎ এবাউট আস, এটার মাধ্যমে কিন্তু মানে ওয়েবসাইটটি কি কি সম্পর্কে সেটা বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে কন্টাক্ট আছে, অর্থাৎ এই ওয়েবসাইটের যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম কি কি সেই সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়।

এরকমভাবে অন্যান্য পেজগুলো কিন্তু বিভিন্ন নিয়মাবলী এবং ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য সেখানে প্রদান করা থাকে। তাই আপনাকে অবশ্যই এই পাঁচটি পেজ ক্রিয়েট করে নিতে হবে যদি আপনি গুগল এডসেন্স এর অনুমোদন নিয়ে ডলার ইনকাম করতে চান।

ট্রাফিক ও ডোমেইনের বয়স

ট্রাফিকের কথা যদি বলা হয় তাহলে বিষয়টা হচ্ছে মোটামুটি যদি ১০০ এর বেশি প্রতিনিয়ত ট্রাফিক আসা শুরু করে তাহলে কিন্তু গুগল এডসেন্স খুব সহজে পাওয়া যায়। তবে অল্প ক্লিক এডসেন্স পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা পোহাতে হয় কিংবা মানে কখন দিবে কিনা দেবে সেটার কোন নির্ভরতা খুব একটা পাওয়া যায় না।

তবে আপনার অন্যান্য কার্যকারিতা কিংবা অন্যান্য যেসব requirement রয়েছে সেগুলো যদি ফুলফিল ভাবে আপনি পূরণ করে থাকেন এবং আপনার ওয়েবসাইটে যদি ১০০ প্লাস ভিজিটার চলে আসে প্রতিদিন তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায় অবলম্বন করলে প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করা

আপনাকে অবশ্যই একটি ডিফল্ট হিসাবে আলাদা করে ডোমিন ক্রয় করে নিতে হবে এবং সেটি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটের সাথে কাস্টমেন হিসেবে রিডাইরেক্ট করে নিতে হবে। তবে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার মানে আলাদাভাবে ডোমেইন বাদেও কিন্তু ব্লগার ওয়েবসাইটেই গুগল এডসেন্স পেয়ে গিয়েছে।

তবে আপনি সবথেকে ভালো হয় যে যদি দীর্ঘদিন যাবত এই ব্লগ ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে চান তাহলে কিন্তু আপনার উচিত যে একটি ডোমেইন ক্রয় করে নেয়া। তবে আপনি যদি ডোমেইন ক্রয় করেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই নেমচিপ থেকে ক্রয় করার চেষ্টা করবেন তাদের কারণ তাদের সার্ভিস এবং অন্যান্য বিষয়গুলো অত্যন্ত ভালো অন্যান্য কোম্পানির তুলনায়।

শেষ কথা

আমাদের ওয়েবসাইটে কিন্তু প্রতিনিয়ত এ ধরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিত্য নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি এই ধরনের আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে সাথেই থাকতে পারেন। ফলো করলে কিন্তু আর্টিকেল প্রকাশ করার সাথে সাথে নোটিফিকেশন আকারে আপনার কাছে চলে যাবে।

যার ফলে আপনি কিন্তু সার্চ দিয়ে কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে সার্চ করে এসে আর্টিকেলটি পড়ে নেওয়া লাগবে না। আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url