চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। অর্থাৎ আপনি যদি জানতে থেকে গরিপুর যেতে চান তাহলে কিভাবে যাবেন এবং সকল পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা বিভিন্ন বাইরের জায়গা থেকে চামটিয়া আসে এবং চামটিয়া আসার পরে তারা আসলে বুঝতে পারেনা যে কিভাবে চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যাওয়ার নিয়ম কি বা কিভাবে যেতে হয়। আর আপনারা যাতে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই গৌরীপুর অঞ্চলে যেতে পারেন তার জন্য কিন্তু এই আর্টিকেলটি আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে লিখেছি।

আপনি যদি চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যেতে চান তাহলে আপনি কিন্তু বিভিন্ন ভাবে যেতে পারেন আপনার জন্য বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করার ব্যবস্থা রয়েছে। আর আপনারা যাতে ক্যাটাগরি অনুসারীর জেনে নিতে পারেন বিষয়গুলো জন্য কিন্তু বেশ কয়েকভাবে আপনাদের বোঝানোর জন্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নিচের যে পদ্ধতিটি আপনার কাছে ভালো লাগবে আপনি চাইলে কিন্তু সে পদ্ধতি অনুসরণ করেই যেতে পারবেন এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।

যত এই রাস্তাটির সম্পূর্ণরূপে পাকা রাস্তা এতে গাড়ি করার কোন সমস্যা নাই প্রচুর পরিমাণে গাড়ি ঘোড়া এই রাস্তায় চলাচল করে। আপনি যদি রাস্তার উপরে গিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু একটি ভ্যান কিংবা অটোরিকশা পেয়ে যাবেন। আর আপনার যদি ব্যক্তিগত যোগ্য কোন যানবাহন যেরকম মোটরসাইকেল কিংবা অন্যান্য কিছু থাকে তাহলে তো আপনি একাই চলে যেতে পারবেন সমস্যা নাই।

আর যেহেতু একই রাস্তা ধরে যেতে হয় এতে কোন প্রকার রাস্তা পরিবর্তন করতে হয় না তাই আপনি যদি নাও চিনেন তাহলে শুধুমাত্র সোজা রাস্তা ধরে চলে গেলে কিন্তু আপনি চলে যেতে পারবেন। আর বর্তমানে কিন্তু google ম্যাপ খুব কার্যকর ভাবে ভূমিকা পালন করে চলেছে তাই আপনি যদি একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গুগল ম্যাপ অনুসরণ করেন তাহলে কোন মানুষকে জিজ্ঞাসা করা ছাড়াই গৌরীপুরে চলে যেতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছে চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যাওয়ার নিয়ম কি।

যদি সেই ভাবে হিসাব করা হয় তাহলে চামটিয়া থেকে গৌরীপুর ২ কিলোমিটারের মত হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি ভিতরে রাস্তা দিয়ে যান তাহলে এক্ষেত্রে কিলোমিটার আরো বেশি হতে পারে। আপনি যদি লালি পাড়া দিয়ে ভাটপাড়া দিয়ে এবং নুরুল্লাহপুরের ওই পাশ দিয়ে গৌরীপুর এ যান তাহলে সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আরও তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত বেশি হতে পারে।

চামটিয়া থেকে প্রথমে গোপালপুরে যান এবং গোপালপুর থেকে লালপুরের মাধ্যমে গৌরীপুরে যান তাহলে সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ১০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। তাই এটা পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করছে যে আপনি আসলে কোন পার্ট দিয়ে যাবেন আপনি যদি সরাসরি যান তাহলে হবে ২ কিলোমিটার এবং আপনি যদি ভেতর দিয়ে ঘুরে ঘুরে যান তাহলে সে ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটার কিংবা তার বেশি হতে পারে।

আপনি যদি পাকা রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু করেন তাহলে কিন্তু সর্বোচ্চ ২০ মিনিট পর্যন্ত হাটলে কিন্তু আপনি গৌরীপুর মোড়ে চলে যেতে পারবেন। এটা নির্ভর করছে আপনি কেমন স্পিডে হাঁটাচলা করেন তার ওপরে। আসলে এটা সম্পূর্ণ রূপে কিন্তু বয়সের উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকে। আপনার বয়স যদি কম হয়ে থাকে এবং আপনি যদি একজন যুবক ব্যক্তি হন তাহলে কিন্তু আপনি খুব দ্রুত চলে যেতে পারবেন।

আপনার হয়তো সর্বোচ্চ 15 মিনিট সময় লাগতে পারে। আর আপনার যদি আসতে ধীরে ২০ মিনিট লাগবে। কিন্তু আপনি যদি বার্ধক্যে পরিণত হয়ে থাকেন এবং আপনার বয়স যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু আপনাকে আমি গৌরীপুর পর্যন্ত যেতে আপনার মনে করেন যে ৩০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই আপনার বয়স যদি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেন তাহলে কিন্তু আমরা আরো সুন্দরভাবে আপনাকে এক্সপ্লোর করে দিতে পারব।

চামটিয়া থেকে গৌরীপুর আপনি যদি গাড়িতে যেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ সময় দিতে হবে পাঁচ মিনিট। আর মোটর সাইকেলের হিসাব এটা দেওয়া হলো কিন্তু যদি আপনি মোটর ভ্যান কিংবা অটো রিক্সায় যান সে ক্ষেত্রে ২-১ মিনিট বেশি লাগতে পারে হয়তো সর্বোচ্চ। তবে আপনি যদি মোটরসাইকেল খুব স্পিডে চালান তাহলে কিন্তু আপনি তিন মিনিটের মধ্যেই গৌরীপুরে চলে যেতে পারবেন।

এটা পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করছে আপনার মোটরসাইকেল এক লিটার তেলে কত কিলোমিটার যায় তার উপরে। আমাদের দেশে কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানির মোটরসাইকেল রয়েছে সেই কোম্পানির মোটরসাইকেল গুলো কিন্তু আলাদা আলাদা মাইলেজ দিয়ে থাকে। তাই আমি যদি একটি নির্ভরযোগ্য তথ্য আপনাদের প্রদান করতে চাই তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাদের মডেল অনুসারী একটি প্রদান করতে হবে।

এমন অনেকগুলো বাইক রয়েছে যেগুলো মনে করেন যে ১ লিটার তেল মাইলেজ ৪৫ কিলোমিটার। আবার অনেকগুলো বাইক আছে যেগুলোর মাইলেজ থাকে ৫৫ বা ষাটের মত। আবার একটা বাইক আছে যেরকম প্লাটিনা যেটা তেল যায় ৭০ কিলোমিটার। আবার গাড়িটা যদি cg কিংবা 4v হয় তাহলে কিন্তু মাইলেজ দিবে মাত্র ৩০ কিলোমিটার।

আপনি যদি ডিসকভার নিয়ে মোটামুটি ৫০ থেকে ৬০ স্পিডে একইভাবে যেতে থাকেন চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যাতে আপনার সময় লাগবে তিন থেকে চার মিনিট। তবে আমি সর্বোচ্চ এক মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে চামটিয়া থেকে গৌরীপুর গিয়েছিলাম। তবে আমার কাছে যদি আরো বড় গাড়ি থাকতো তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আর কম সময় লাগতো।

তাই আপনি যদি স্বাভাবিক একজন মানুষ হয়ে থাকেন এবং সাধারণভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে সময় রাখতে হবে পাঁচ মিনিট। এক্ষেত্রে আপনি কোন প্রকারের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন না আরামে যেতে পারবেন। না নিয়ে আপনি যদি পরিপূর্ণভাবে জানতে চান তাহলে সময় লাগবে মাত্র পাঁচ মিনিট। আর আপনি যদি চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যাওয়ার নিয়ম আরো ভালোভাবে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন।

অটো ভ্যানে চামটিয়া থেকে গৌরীপুর এর ভাড়া মাত্র ১০ টাকা। ইতিপূর্বে এই ভাড়া ছিল 5 টাকা কিন্তু বর্তমানে এটি বেরিয়ে 10 টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আপনি যদি ভ্যানের মাধ্যমে যান তাহলে আপনাকে অবশ্যই দশ টাকা পরিমাণ প্রদান করতে হবে। তবে ক্ষেত্রে অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে একই রকম যেরকম অটোরিকশা, সবুজ সিএনজি মোটামুটি এরকম ভাড়া প্রদান করতে হয়।

আপনি যদি হিসাব করেন তাহলে চামটিয়া দিঘাপাড়া থেকে প্রথম মোড় হল রোকনের বাড়ির সামনে এবং তারপরেই মোড় হল জাহেদের বাড়ির সামনে। এই গেল মোট দুইটা মোড় এরপরেই মোড় হচ্ছে ইউনুস হাজির বাড়ির সামনে, তাহলে মোট হল তিনটি। এর পরে আপনি যদি যেতে থাকেন তাহলে আরেকটি মোড় পেয়ে যাবেন লালি পাড়া।

এরপরে লালি পাড়া পার হওয়ার পরেই বটতলা অর্থাৎ মুড়ি ফ্যাক্টরির সামনে। এরপর যদি চলে যেতে থাকেন তারপরে মোড় পেয়ে যাবেন আপনি হচ্ছে পালপাড়া যাওয়ার রাস্তার ওখানে। পায়ে যাবেন হচ্ছে মিস্ত্রিপাড়া। আর মিস্ত্রি পারার পরে আর একটি মুড রয়েছে সেটা হচ্ছে নাঈম ভাইয়ের বাড়ির সামনে। তাহলে এক কথায় হিসাব করে বলা যায় চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যেতে মোট ৮টি মোড় রয়েছে।

আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন চামটিয়া থেকে গৌরীপুর যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সকল তথ্য। এছাড়া আপনি যদি এই সম্পর্কে কারো কোন তথ্য জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন তাহলে আমরা কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে একটি সুন্দর আর্টিকেল উপহার দিতে পারব।