মালিক, ব্যবসায়ী, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে উত্তোলন জাবেদা

পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জাবেদা সম্পর্কিত যত ধরনের প্রশ্ন এবং আপনার যত ধরনের তথ্য জানতে চাচ্ছিলেন সেগুলো সব কিছু জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ইন্টারেস্টেড হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কিন্তু অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করতে হবে। তো চলুন বাড়তি কথা না বলে আমাদের আর্টিফিলের মূল আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ জাবেদা সম্পর্কে তথ্যগুলো জেনে নেওয়া যাক।
মালিক, ব্যবসায়ী, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে উত্তোলন জাবেদা
এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে তারা তাড়াহুড়া করে পড়ার কারণে কিন্তু সঠিক তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে পারে না। তাই আপনি যদি এখন ফ্রি হয়ে থাকেন এবং আপনার হাতে যদি নির্দিষ্ট একটি সময় থেকে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি এখন আপনি পড়বেন। আর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় না থাকে তাহলে অন্য কোন সময় পরে নেবেন। কারণ তাড়াতাড়ি করে পড়লে আপনি আসলে তথ্যগুলো জানতে পারবেন না তাই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার খুব একটা লাভ হবে না।

জাবেদা কাকে বলে

জাবেদা হিসাব বিজ্ঞানের একটি বই, যে বইয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক আর্থিক লেনদেনগুলো তারিখ অনুসারে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে ডেবিট ও ক্রেডিট বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা হয়। যদিও এটি একটি প্রাথমিক স্তর হিসেবে কাজ করে তবে পরবর্তীতে খতিয়ানে স্থানান্তরের জন্য এটাকে ভিত্তি হিসেবে ধরে রাখা হয়।

জাবেদা ও খতিয়ানের মধ্যে পার্থক্য

জাবেদা ও খতিয়ানের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। তো আপনি যদি মানে তুলনামূলক পার্থক্য করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। তাহলে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন অর্থাৎ যে শব্দগুলো ব্যবহার করা হবে সে শব্দগুলোর অর্থ এবং পরিপূর্ণ মিনিং যদি আপনি জানেন তাহলে তুলারামূলক পার্থক্য করলে আপনি সেটাই ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

প্রথমে যে পার্থক্যটা রয়েছে সেটা হল প্রাথমিক স্তর এবং শেষ স্তর। অর্থাৎ জাবেদা এর মাধ্যমে কিন্তু তথ্যগুলো মানে মোটামুটি প্রাথমিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং পরবর্তীতে একটি পাকা বই হিসাবে সকল তথ্যগুলো সংরক্ষণের জন্য খতিয়ান করা হয়। এজন্য খতিয়ানের বিষয়টি হলো হিসাবের স্থায়ী এবং বিস্তারিত রেকর্ড।

দ্বিতীয় পার্থক্যটি হলো জাবেদা করা হয় তারেক অনুযায়ী লিপিবদ্ধভাবে কিন্তু খতিয়ান এর শ্রেণীবদ্ধ করা হয় এর শিরোনাম অনুযায়ী অর্থাৎ হিসাবে যে শিরোনাম থাকে সেই হিসেবে শিরোনাম অনুসারে। আর্থিক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে কিন্তু জাবেদা কে খুব একটা ব্যবহার করা হয় না অর্থাৎ সেখান থেকে শুধুমাত্র তথ্যগুলো নেওয়া হয় কিন্তু খতিয়ানের ক্ষেত্রে সেটি স্থায়ী বই হিসাবে ভিত্তিক প্রশ্ন স্থাপন করে।

আবার অন্যদিকে এগুলোর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিন্তু পার্থক্য রয়েছে। জাবেদা ব্যবহার করা হয় নির্ধারণের জন্য। কিন্তু হিসাবের যে চূড়ান্ত নির্ধারণের যে ব্যাপারটি রয়েছে সেটি কিন্তু করা হয় খতিয়ানের মাধ্যমে। তাই বুঝতে পারছেন পার্থক্য রয়েছে। যদি আপনি মনে রাখতে চান কিংবা তুলনা করতে চান তাহলে জাবেদা হল প্রাথমিক স্তর এবং খতিয়ান হলো প্রারম্ভিক স্তর।

মালিক কর্তৃক নগদ উত্তোলন জাবেদা

আপনারা সব সময় একটি মনে রাখবেন যখন মালিক কর্তৃক নগদ উত্তোলন করা হয় তখন কিন্তু মূলধন হ্রাস হয়ে যায়। কারণ বিষয়টি হচ্ছে যখন মানে তিনি উত্তোলন করেন তখন কিন্তু তার প্রকৃত যে মূলধন ছিল সেটা কিন্তু কমে যাচ্ছে এবং এখান থেকে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি এরকম নয় যে মূল যে কর্তৃপক্ষ রয়েছে তারা তাদের ব্যক্তিগত এমন থেকে তাকে প্রদান করছে এটি মূলত সে তার নিজের একাউন্ট থেকে উত্তোলন করছে জন্য কমে যাওয়াকে বলা হচ্ছে।

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে উত্তোলন জাবেদা

এখানে ব্যক্তিগত প্রয়োজন বলতে এসে সেখানে মানে কোন কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে না কিন্তু নির্দিষ্ট একটা কারণের কারণে সে কিন্তু সেই মালিকপক্ষ তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কিংবা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে জাবেদা উত্তোলন করছে। তো এক্ষেত্রে বিষয়টা হচ্ছে যে সেক্ষেত্রে কিন্তু এটি ব্যবসায়ের মূলধন গ্রাস করে এবং ব্যাংকের ব্যালেন্স কমে।


মানে মালিক কর্তৃক নগদ উত্তোলন জাবেদার সাথে এটার মূল পার্থক্য হচ্ছে মানে মালিক তোলে কিন্তু এখানে মালিক পক্ষের করতে কি উত্তোলন করা হচ্ছে কিন্তু এখানে নির্দিষ্ট একটি ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করা রয়েছে। তো এক্ষেত্রে অনেকে আমরা Entity Concept এর আওতায় অনুসরণ করি এবং ব্যবসা ও মালিকের ব্যক্তিগত লেনদেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়।

আর এখানে মূল ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে যদি এই ধারণা করা যায় তাহলে ব্যালেন্স সিটে মালিকের অ্যামাউন্ট কমে যায়। আচ্ছা এই এমন পরবর্তীতে যদি লাভ কিংবা ক্ষতির হিসাব করা হয় সেক্ষেত্রে মোটামুটি কোন উপকার প্রভাব পড়ে না কারণ এটি ব্যবসায়ের খরচ নয়। তবে হিসাব বিজ্ঞানের মত কিন্তু এটা মোটামুটি বিজনেস কনসেপ্ট এবং বই কনসার্ন কনসেপ্ট এর অন্তর্ভুক্ত দুটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে।

ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে উত্তোলন জাবেদা

মনে করুন যে কোন ব্যক্তি দোকানের জন্য যে সেলসম্যান রয়েছে তাকে নগদে পেমেন্ট করার জন্য ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে বলেন। এক্ষেত্রে যে বিষয়টা হবে এটা কিন্তু সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়ের ব্যালেন্স সেটা বাড়াবে কিন্তু ব্যাংকের জনকৃত এমাউন্ট সেটাকে কমিয়ে দিবে। মানে ব্যাংকের মধ্যে যেটা থাকে সেটা হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট পরিমান এমাউন্ট সেটা ব্যাংকের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে জমা থাকে।

কিন্তু যখন সেটা উত্তোলন করা হবে তখন সেটা কিন্তু নগদ টাকার পরিমান বৃদ্ধি করবে অর্থাৎ সেটা আপনার আর্থিকভাবে ব্যবহার উপযোগী টাকায় পরিণত হয়ে যাবে। এটা কোনভাবে আপনার সমস্ত অ্যামাউন্ট কে কমাচ্ছে না বরং আপনার নগদ এমন কে বাড়াচ্ছে এবং ব্যাংকের একাউন্টে কমিয়ে দিচ্ছে। আর হিসাববিজ্ঞানের যদি এখানে নীতি প্রয়োগ করা হয় তাহলে মোটামুটি Money Measurement Concept এবং Dual Aspect Concept নীতির আওতায় এগুলো পড়ে।

মালিক কর্তৃক পণ্য উত্তোলন এর প্রভাব কি হবে

এখানে বিষয়টা হচ্ছে যে মালিক কর্তৃক যদি পণ্য উত্তোলন করা হয় তাহলে এর বেশ কয়েকটি প্রভাব বিস্তার হতে পারে। বিষয়গুলো যদি সিরিয়াল অনুসারে বলা হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে যে মূলধন হ্রাস, তারপরে মজুদ অর্থ হ্রাস, লাভের উপরে প্রভাব ইত্যাদি। তো বেশি করে যদি আপনি প্রয়োজন অনুসারী এবং সঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সামগ্রিকভাবে আপনি কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

অনাদায়ী পাওনা ধার্য করা হলো জাবেদা

মানে এখানে যদি অন্য ভাষায় বলা যায় তাহলে বুঝবেন না কিন্তু সোজা ভাষায় বলতে গেলে অনাদায়ী পাওনা মানে গ্রাহকদের কাছ থেকে আপনি যে টাকাটা পাবেন সেটা আর ফেরত পাবার কোন সম্ভাবনা নেই। এটা মূলত মানে ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে আসলে ব্য্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে লোভ্যাংশের যে অংশটুকু থাকে সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রাপ্য হিসাবে আর্থিক অবস্থানের ওপরে ব্যাপক রকমের প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্যক্তিগত মতামত

আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জাবেদা সম্পর্কে সকল তথ্যের বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং আপনি যাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছেন তারা যদি এ বিষয়ে অন্যান্য তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

তো আমাদের ওয়েবসাইটে কিন্তু এরকম নিয়ত নিত্য নতুন আর্টিকেল প্রকাশিত হয় যেগুলো আপনাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে। তাই এরকম আর্টিকেল যদি আপনি প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে পাশেই থাকুন। আজকে এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে আপনার যে বিষয়গুলো কমেন্ট করেন জানাবেন সেগুলো নিয়ে আমরা আর্টিকেল উপস্থাপন করতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url