সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায় ও উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায় সেই সম্পর্কে। তাই আপনি যদি সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায় ও উপকারিতা
তবে আপনি যদি শুধুমাত্র উপকারীতের কথা শুনে এটি সেবন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেন তাহলে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। কারণ আপনি যদি সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায় সেটা না জেযে অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় সেবন করে থাকেন সেক্ষেত্রে কিন্তু পার্শপ্রতিক্রিয়া গুলোর সম্মুখীন হতে পারেন। তাই আপনি যদি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে থাকেন এবং নিজের স্বার্থের প্রতি যত্নশীল না হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায় সেটা জেনে রাখতে হবে।

সিনারন প্লাস কি কাজ করে। সিনারন প্লাস ট্যাবলেট এর কাজ

আমাদের কাছে কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে তাই তাদের সুখে থাকতে কিন্তু আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে সিনারন প্লাস এর কার্যকরিতা কতটুকু এবং সেটা কিভাবে আমাদের শরীরে কাজ করতে পারে সে সম্পর্কে সকল ধারণা দেওয়া হবে। আপনি এই অংশটুকু পড়লে শুধুমাত্র কার্যকারিতা জানতে পারবেন না এর পদ্ধতিগত এবং কিভাবে এটি আমাদের শরীরে কাজ করে সেই সম্পর্ক কিন্তু জানতে পারবেন।

তো আপনি যদি এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রথমে কিন্তু আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে এর উপাদান কি অর্থাৎ কি ধরনের উপাদান দিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে সেই সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত। কারণ উপাদানের ওপরে কিন্তু এর কার্যকারিতা গুলো নির্ভর করে থাকে তাই উপাদান সম্পর্কে যদি আপনি একবার জেনে যান তাহলে কিন্তু সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন।

তো এর উপাদান গুলোর মধ্যে যেগুলো রয়েছে সেটা হচ্ছে সিনারিজিন এবং ডাইমেনহাইড্রিনেট। এগুলো মূলত যে কাজটা করে সেটা হচ্ছে রক্ত সঞ্চালন এর গতি বৃদ্ধি করে এবং সেটা অধিক পরিমাণে রক্ত সঞ্চালনের সহায়তা করে থাকে। আমাদের দেহের যদি সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন না হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে যার মধ্যে প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য সমস্যা হল মাথা ঘোরা এবং মোশন সিকনেস।

এটা কিন্তু অনেকেরই থাকে কিন্তু অনেকে এটাকে গুরুত্ব প্রদান করে না কিংবা বুঝতে পারেনা যে আসলে এই সমস্যাটি কি কারণে হচ্ছে। অনেকে মনে করে যে পোস্টটি জনিত কিংবা ভিটামিনের সমস্যার কারণে এই কাজটি হয়ে থাকে কিন্তু সম্পূর্ণরূপে ভুল ধারণার মধ্যে রয়েছে। এটা কোন ক্যালসিয়াম কিংবা ভিটামিনের কারণে হয় না এটা হয় শুধুমাত্র রক্ত সঞ্চালনের ধীরগতির কারণে।

রক্ত সঞ্চালনের যে বিষয়টা আছে সেটার ফলে কিন্তু রক্তের মাধ্যমে আমাদের দেহে অক্সিজেন সহ বিভিন্ন জিনিস কিন্তু সঞ্চালিত হয় রক্ত স্রোতের মাধ্যমে। আর সেই কাজটি যখন ব্যাঘাত ঘটে তখন কিন্তু বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়।

যদি সাধারণভাবে হিসাব করা যায় সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে এই সিনারন প্লাস ট্যাবলেট ের ফলে কিন্তু এটি আমাদের শরীরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে এই কার্যকর ভূমিকা তখনই পালন করবে যখন আপনি সঠিক নিয়ম এটি সেবন করবেন তখন এবং জেনে নিবেন যে সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায়।

তো যদি একটা লিস্ট করা যায় তাহলে সিনারন প্লাস ট্যাবলেট এর কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে ভার্টিগো, মাথা ঘোরা বন্ধ করে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, বমি বমি ভাব দূর করে, ঝিমুনি দূর করে, অনিদ্রা দূর করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ইত্যাদি। তো বুঝতে পারছেন যে এটি কত কার্যকর ভাবে আমাদের শরীরে কাজ করে তাকে অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু এই ওষুধ কিন্তু অনেক জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে।

সিনারন প্লাস এর উপকারিতা

উপরে যে কার্য করে তার কথাগুলো বলা হয়েছে সেগুলো কিন্তু আরেকভাবে বলতে গেলে উপকারিতা গুলো উল্লেখ করে থাকে। অর্থাৎ কার্যকারিতা কে আরেকভাবে উপকারিতা নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই উপরের অংশ থেকে আপনি যেহেতু কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তাই পরোক্ষভাবে কিন্তু আপনি উপকারিতা জানতে পেরেছেন। তাই অতিরিক্ত ভাবে এখানে আর সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো না।

সিনারন প্লাস খাওয়ার নিয়ম

উপরের অংশগুলো থেকে আপনি যে কার্যকারিতা কিংবা অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন সিনারন প্লাস এর সেগুলো যদি আপনার বাস্তব জীবনে উপলব্ধি করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা এটার দীর্ঘদিন যাবত সেবন করে যাচ্ছে কিন্তু কোন প্রকার উপকার উপকারিতা এটা থেকে পেতে পারছে না।

যার মূল কারণ হলো সে কিন্তু সিনারন প্লাস খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করে নাই। তাই আপনি অল্প দিন কেন না হোক মানে যতদিনই খাবেন আসলে যদি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেন তাহলে কিন্তু ভালো ফলাফল না করতে পারবেন আর যেহেতু এটা খুবই সেনসিটিভ বিষয়ের ঔষধ তাই সব থেকে ভালো হয় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করা।

চিকিৎসকেরা সাধারণত যে কাজটি করে থাকে সেটা হচ্ছে এ রোগের ধরন এবং আপনার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি অনুসারে তারা কিন্তু চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে। যার ফলে কিন্তু অল্প দিন সেবন হলেও সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায়। আর তারা এটাও বলে দেয় যে সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায়।

এখন মেইন কথা হল সিনারন প্লাস খাওয়ার নিয়ম নির্ভর করে থাকে আপনার বয়সের উপরে। আপনি যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি এটা এক থেকে দুই চামচ পর্যন্ত দিনে এক থেকে দুই পা পর্যন্ত সেবন করবে না। আর যদি আপনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে দুই থেকে তিন চামচ পর্যন্ত দিনে দুই থেকে তিনবার পর্যন্ত সেবন করতে পারবেন।

সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায়

আপনি ইতিমধ্যে আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয়টি জানতে চলেছেন। সিনারন প্লাস নিয়ে যত ধরনের প্রশ্ন রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন হল এটি। তাই আমি মনে করছি যে এই সম্পর্কে কিন্তু আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারণা রেখে দেওয়া উচিত যার ফলের সাথে কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না।

তো সোজা কথাই বলতে গেলে সিনারন প্লাস কতদিন খেতে হবে এটা সম্পূর্ণরূপে ব্যাক্তি ভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। মনে করুন আপনি একটি ওষুধ সেবন করে যে ফলাফল পাবেন অপর একটি ব্যক্তি আপনার যতদিন সেবন করেছিলেন সেও তো যদি ততদিনই সেবন করে তাহলেও কিন্তু ফলাফল একই রকম নাও হতে পারে কিন্তু হবেই না। তাই এটা আসলে আলাদা আলাদা হয় কারণ সবার তো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একরকম নয়।

তবে আপনি যদি এক কথায় অত্যাচার সরাসরি জানতে চান যে বিষয় অর্থাৎ সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায় তাহলে মোটামুটি ভাবে বলা যায় যে এক সপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়া যায়। তবে এটাও আবার নির্ভর করছে আপনি কি উদ্দেশ্যে এটা সেবন করছেন তার উপরে।

সিনারন প্লাস এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রত্যেকটি ওষুধের মত সিনারন প্লাস এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিন্তু বিদ্যমান রয়েছে। যেহেতু এটি খুব সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে তাই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো কিন্তু ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাই আপনার উচিত অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করে তার দেওয়ার নির্দেশনা অনুসারে সেবন করে তাহলে সকল রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পাবেন।

এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে শুষ্ক হওয়া, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, এলার্জির প্রতিক্রিয়া, পেটে ব্যথা, ওজন বেড়ে যাওয়া, চর্ম রোগের দেখা দেওয়া ইত্যাদ। আরেকটা বিষয় হচ্ছে এখানে কিন্তু এগুলো প্রথমে সাধারণ অবস্থায় থাকলে পরবর্তীতে কিন্তু মারাত্মক ধারণ করতে পারে।

সিনারন প্লাস ট্যাবলেট এর দাম কত টাকা

যদি এটি একটি খুবই জনপ্রিয় এবং বহুল বিক্রি হওয়া একটি ঔষধ তাই এটা আপনি সাধারণত যে কোন ফার্মেসিতেই পেয়ে যাবেন। আর এটা কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস এর প্রস্তুত একটি ট্যাবলেট। তাই এটার কিন্তু জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

এখন যদি দাম হিসাব করা যায় তাহলে সিনারন প্লাস ট্যাবলেট এর প্রতি পিচের দাম দুই টাকা। এক পাতায় যেহেতু 14 টি ট্যাবলেট থাকে তাই এক পাতার দাম কিন্তু 28 টাকা। আর আপনি যদি এক প্যাকেট ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে এরকম ১৪ পিচের ১০ টি পাতা থাকে তাহলে ক্যালকুলেশন করলে একটি প্যাকেটের দাম আসছে ২৮০ টাকা।

মতামত

আপনি নিজে উপকৃত হন এবং অন্যরা যাতে উপকৃত হতে পারে সেজন্য অন্তত এই কাজটুকু মানবতার ক্ষেত্রে করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে কিন্তু এ ধরনের নিত্য নতুন আর্টিকেল প্রকাশিত হয় যেগুলো আপনাদের অনেক প্রয়োজনীয় হতে পারে। তাই সবার আগে আর্টিকেল পেয়ে যেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে পাশেই থাকুন।

আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আপনি জানতে পেরেছেন সিনারন প্লাস কতদিন খাওয়া যায় এর সম্পর্কে। প্রশ্ন থাকে তাহলে কিন্তু আমাদেরকে জানিয়ে দিতে পারেন তাহলে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে এরকম একটি সুন্দর আর্টিকেল উপস্থাপন দিতে পারব। আর এই আর্টিকেল থেকে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url