সেডিল কি ঘুমের ঔষধ, বেশি খেলে কি হয়, খাওয়ার নিয়ম

আবেগের উপরে কন্ট্রোল আনা,, মস্তিষ্কে আরাম দেওয়া,, ইস্নায়ু চাপ কমানো,, শরীরের রিলাক্স ভাব আনে,, দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে,, নার্ভকে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা রাখে,, এই ওষুধ খেলে আপনি সাধারণত এইসব উপকারগুলো পেতে পারেন তাই আপনার যদি কোন কারনে এই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে উপরের উপকারিতা গুলো আগে ঠিকমতো দেখে নিবেন তারপরে ওষুধ খাবেন

বহু ছেলে মেয়ে আছে যারা শুধু এ ওষুধ খেয়ে ঘুমের ওষুধ হিসেবে খেয়ে থাকে আদৌ কি তারা জানে যে এটা কি শুধু ঘুমের ওষুধ নাকি অন্য কিছু অনেক মানুষ আছে যারা ঘুমের সমস্যায় ভোগে সাধারণত তারাই সেডিল খেয়ে থাকে,এটা শুধু ঘুমের ওষুধ না,, ঘুমের সমস্যা দূর করা বাদেও আরো অনেক কাজে এ ওষুধ ব্যবহার করা হয়,, বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা দেখা দেয় তা হচ্ছে হতাশা এবং দুশ্চিন্তা এ ওষুধ খেলে হতাশা এবং দুশ্চিন্তা থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকা যায়..

নার্ভ কে স্থির রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে,মাংসপেশের ব্যথা দূর করতে পারে,, অনেক সময় ডাক্তাররা মানসিক রোগীদের জন্য এই ওষুধ দিয়ে থাকে,,, এই ওষুধ খেলে স্নায়ুর চাপ কমে যার কারণে খুব দ্রুত ঘুম আসে,, যাদের শরীরে খিচুনি হয় বা কোন কাজের ক্ষেত্রে শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে যায় তাদের শরীরের উত্তেজনা এবং খিচুনি দূর করতেও সাহায্য করে,,,

এক ধরনের রোগ আছে যে রোগ হঠাৎ করে মানুষের শরীরে আক্রমণ করে যে সময় আক্রমণ করে তখন মানুষের ব্যবহার আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে যায় এই রোগকে মৃগী রোগ বলে,, এই ওষুধ খেলে মৃগী রোগের অস্বাভাবিক আচরণ স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে.. আপনার যদি এই ওষুধ খাওয়ার কোন প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।

 নিজের শিওর হবেন যে আপনি কোন কারণে খাবেন কারণ একটা ওষুধ অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা হয়,,, আপনার যদি শুধু ঘুমের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার শরীরের জন্য যে ওষুধ ভালো হবে সেই ওষুধে ঘুমের জন্য খাবেন। আশা করি জানতে পেরেছেন সেডিল কি ঘুমের ঔষধ।

এই ওষুধ বেশি খেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতে পারে তা হচ্ছে নিজের উপরে মানসিক কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলা আপনি কখন কি করবেন কখন কি বলবেন হয়তো নিজেই বুঝতে পারবেন না অর্থাৎ আপনাকে মাতাল হিসেবে ধরা হবে,,, এছাড়াও এই ওষুধ বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিবে যেমন মাথা ব্যথা শরীর ব্যথা অতিরিক্ত ঘুম হওয়া বমি বমি হওয়া খাবারের রুচি হারিয়ে যাওয়া মেজাজ খিস্তিতে হয়ে যাওয়া নিজের আচরণ নিজের কন্ট্রোলে না থাকা,

তেমনিভাবে এই ওষুধ খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে আপনি যখন এই ওষুধ নিয়ম অনুযায়ী খাবেন তখন দেখবেন আপনি যেই সমস্যার জন্য এই ওষুধ খাচ্ছেন সে সমস্যা সমাধান হচ্ছে এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে কোন সময় খালি পেটে এই ওষুধ খাবেন না যখন আপনার এই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে তখন অবশ্যই আগে পেট ভরে ভাত খাবেন এর পরেই এই ওষুধ খাবেন,,,

আপনি যদি মানসিক সমস্যার জন্য এ ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে এক থেকে দুইটি করে দিনে খাবেন,,, যদি অনিদ্রার জন্য এ ওষুধ আপনার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে এই ওষুধ খেয়ে নিবেন তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার ঘুম চলে আসবে আর যদি আপনি খালি পেটে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি হবে..

যদি শরীরে এবং মস্তিষ্কের রিলাক্স ভাব নিয়ে আসতে চান বা মানসিক চাপ হতাশা দূর করার জন্য এ ওষুধ খাওয়ার চিন্তা করেন তাহলে প্রতিদিন রাত্রে খাবার খাওয়ার পরে একটি করে ট্যাবলেট খাবেন একটি বেশি কখনোই খাবেন না... ভয়ের অনুভূতি শরীরের খিচুনি এবং উত্তেজনা কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে সর্বপ্রথম খাবার খাবেন এরপরে একটি ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন তাহলেই দেখবেন অনেকটা তো হয়ে উঠবেন.... 

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো হল প্রচন্ড পরিমানে মাথা ঘুরতে পারে,, চোখ ঝাপসা হয়ে আসতে পারে অর্থাৎ আপনি ঠিকভাবে চোখে কোন কিছু দূরের বস্তু দেখতে পারবেন না,,, খাবারের রুচি হারিয়ে যাবে,, অনেক বেশি ঘুমের চাপ সৃষ্টি হবে,, মেজাজে খিট-নিটি ভাব চলে আসবে,, নিজের মস্তিষ্কের উপরে নিজের কোন কন্ট্রোল থাকবে না,,

শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় দুর্বল হয়ে যাবে... অনেক সময় অনেকের এলার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে,, মুখ গলা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এজন্য বারবার পানি খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে,,, বিষন্নতা হতাশা এসবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে,, যারা অতিরিক্ত মাত্রায় দুর্বল তাদের জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে,,,

পেট খারাপ বমি বমি ভাব এ সমস্যাগুলো বেশি হতে পারে,, তাই আপনি যদি এই ওষুধ খেতে চান তাহলে অবশ্যই নিজের শরীরের দিকে লক্ষ্য করে খাবেন এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন তাছাড়া আপনার শরীরের বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যারা অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ খেতে থাকে তাদের মস্তিষ্কে এমন পরিমাণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যে তাদের মস্তিষ্কে আত্মহত্যা করার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যায় সুতরাং নিজে সাবধান থাকুন এবং সুস্থ থাকুন

উপসংহার